ব্রেকিং

x


সীমিত আকারে যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে ৩১ মেঃ নিরাপদ দূরত্বেই ভ্রমন করবেন যাত্রীরা

বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০ | ১১:১৮ অপরাহ্ণ

সীমিত আকারে যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে ৩১ মেঃ নিরাপদ দূরত্বেই ভ্রমন করবেন যাত্রীরা

করোনা পরিস্থিতির কারণে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচলে এবার বিক্রয় হবে ৫০ শতাংশ টিকেট। ৩১ মে থেকেই শুরু হতে যাওয়া যাত্রীবাহি ট্রেনের টিকেট বিক্রয় সময়ে এক সিট খালি রেখেই বিক্রয় হবে টিকেট। এতে সংক্রমণ রোধে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এসব সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সকল প্রকাল নিয়ম-কানুন মেনেই এসব ট্রেন চলাচল শুরু করবে। ট্রেন চলাচলে বিষয়ে রেলওয়ে প্রশাসনে নানাভাবে প্রস্তুতিও রয়েছে প্রাথকিভাবে। এ নিয়ে রেলভবনে বৈঠক হবে শনিবার দুপুরে। এতে সভাপতিত্ব করবেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।

অন্যদিকে সরকারি সাধারণ ছুটি আর না বাড়ানোর কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ (সরকারি-বেসরকারী) স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগ দিতে ট্রেন, গণ-পরিবহণ, লঞ্চ, প্রাইভেট কারসহ নানাবিধ উপায়ে চলাচল শুরু করবেন। এ নিয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শামছুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে রবিবার থেকেই সীমিত আকারে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। শনিবার রেল ভবনের বৈঠকে ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, যাত্রীরা স্বাস্থ্যাবিধি মেনেই ট্রেন ভ্রমন করবেন। প্রতিটি ট্রেন হ্যান্টস্যানিটাইজার, মাস্ক, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার মধ্যে চলাচল করবে। রেলের দায়িত্বশীল স্টাফরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং এ থাকবে। যাত্রীরা ট্রেনে উঠার আগেই ট্রেনের সকল বগি পরিস্কার করে রাখা হবে। নিজ নিজ সতর্কতা বজায় রেখেই দুরত্ব মেনেই চলাচল করতে হবে। পঞ্চাশ শতাংশ টিকেট বিক্রয় হবে। এভাবে আপাতত চলাচল করার পর পরবর্তীতে কোন নির্দেশনা এলেই আরো বড় পরিসরে ট্রেন চলাচল করবে। অন্যদিকে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভাল বা না হলে সরকারি যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সেভাবেই ট্রেন চলবে বলে জানান তিনি।

পূর্বাঞ্চলের এডিশনাল চীফ কর্মাশিয়াল ম্যানেজার (এডিশনাল সিসিএম) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ষ্টেশনে টিকেট কাটার জন্য আসা যাত্রীদের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য গোল চিহ্ন দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে গোল চিহ্ন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। টিকিট বিক্রয় বা ক্রয়ের ক্ষেত্রে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকে সে বিষয়েও কিছু নিয়ম-কানুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, যাত্রীরা ট্রেনে উঠার সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার, মুখে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা নিশ্চিত করা হবে। একই কথা বললেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) মো. আনসার আলীও।

পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রীক প্রকৌশলী (সিএমই) ফকির মো. মহিউদ্দিন বলেন, নির্দেশনা অনুয়ায়ী ট্রেন চলাচলের জন্য যাত্রীবাহী ট্রেন বা বগি প্রস্তুত আছে। ইতিমধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন, ওয়াগন, যাত্রী কোচ, খাবার গাড়ি ও প্রয়োজনীয় লোকবলসহ নানাবিধ প্রস্তুত রয়েছে।

রেলওয়ে অনবোর্ড-ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহ আলম বলেন, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হলেও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেন পরিচালনায় আমাদের কাজগুলো নিয়মিত করে আসছি। এতে রবিবার থেকেই নতুন করে যাত্রীবাহি ট্রেন চলাচল শুরু করার জন্য অনবোর্ড-ক্যাটারিং সার্ভিসের কিছু কাজ রয়েছে।

তবে সে সব কাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছে নিজস্ব স্টাফও। তবে পরিস্কার পরিচ্ছনসহ নানাবিধ নিয়ম মেনেই ট্রেনে সার্ভিস দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রেলওয়ে ও রেল মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই চলাচল করেনি রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীবাহী ট্রেন। এতে বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্যশস্য, জ্বালানী ও কনটেইনার ছাড়াও ১ মে থেকে চালানো করে আসছে পার্সেল ট্রেন। এতে সীমিত আকারে রবিবার থেকেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করছে সরকারি নির্দেশনা অনুয়ায়ী। এর আগে মন্ত্রণালয় ও রেলভবনের নির্দেশনার পর গত ৭ মে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে চিঠি পাঠায় বাণিজ্যিক বিভাগের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

চিঠিতে ট্রেনগুলো জীবাণুমুক্ত করা ছাড়াও ট্রেন চলাচলে প্রস্তুত রাখতে পরিবহনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে নির্দেশনা দেয়া হয়। ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি হিসেবে অনবোর্ড পরিচালিত ট্রেনগুলোর দরজা-জানালা, হাতল, সিট, হেড বেল্ট কভার, টয়লেট, মেঝে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানকে খাবার গাড়ি সুষ্ঠু ভাবে পরিচ্ছন্ন করে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করতে হবে। ট্রেনে ভ্রমণকালে প্রত্যেক যাত্রীকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহারে স্টেশনগুলোর মাইকে ঘন ঘন ঘোষণা দিতে হবে, বড় অক্ষরে লিখে কাউন্টারের সামনে সাঁটিয়ে দিতে হবে। ইস্যুকৃত টিকিটের উপর ‘ট্রেনে ভ্রমণকালে প্রত্যেক যাত্রীকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে’ মোটা সিল মেরে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। সর্বোপরি স্টেশনের দায়িত্ব পালনকালে প্রত্যেক কর্মচারীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া রেলের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ১৪টি শর্ত দেয়া হয়।####

Facebook Comments Box

বাংলাদেশ সময়: ১১:১৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০

ekhonbd24.com |

Development by: webnewsdesign.com