প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার সম্পর্কে জ্ঞানের সুযোগ সৃষ্টি করতে বিদেশি সাহিত্য অনুবাদে আরো বেশি মনোনিবেশ করার জন্য বাংলা একাডেমির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুবাদ সাহিত্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, নিজের মায়ের ভাষাকে জানা যেমন দরকার তেমনি অন্য ভাষা জানাটাও দরকার। সেজন্য অনুবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, বাংলা একাডেমিকে সবময়ই আমি অনুরোধ করেছি-অন্যান্য দেশের সাহিত্য যেন আমরা জানতে পারি। কারণ, সহিত্যের মধ্য দিয়েই মানুষের জীবনচর্চাটা জানা যায়, সংস্কৃতি ও ইতিহাস জানা যায়।
তিনি বলেন, রাজনিতিকরা দিনভর বক্তৃতা করার পর সেখানে কিছুটা মন ছুঁয়ে গেলেও সাহিত্য মানুষের মধ্যে গভীর রেখাপাত করতে পারে। কাজেই, সাহিত্যের মাধ্যমে কোনো বার্তা দেওয়া গেলে সেটা মানুষের মনে দীর্ঘ স্থায়িত্ব লাভ করে।
প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে অমর একুশে উপলক্ষ্যে রাজধানীর বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাসব্যাপী অমর একুশের বইমেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমি চত্বরের মূল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সাহিত্যের মধ্য দিয়ে একটি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও জানার একটা সুযোগ হয়। মানুষের জীবন-মান ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানা যায় সেজন্য এটা খুব বেশি প্রয়োজন। তাছাড়া, সাহিতের মধ্যদিয়ে ইতিহাস-সংস্কৃতিসহ সববিছুই আমরা জানতে পারি। সে জন্য সবসময় ভাষার ওপর গবেষণা করা এবং অনুবাদ করা এবং এই জিনিসগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
বই পড়া অভ্যাসকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকর জীবনে বই বড়ার অভ্যাস থাকলে সময় কাটাতেও কষ্ট হয় না। তাছাড়া, এখন মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমেও পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে, একটা বই হাতে নিলে ও পাতা উল্টিয়ে পড়ার আনন্দটাই আলাদা। যেটা ডিজিটাল ডিভাইসে পাওয়া যায় না। কাজেই বইয়ের আবেদনটা কখনও মুছে যাবে না।
তিনি আরো বলেন, সরকারে থাকি আর বিরোধীদলে থাকি একদিনের জন্য হলেও বইমেলায় যাই। এখন করোনার কারণে যেতে পারছি না। কারণ, আমি গেলে এক হাজার লোকের সম্পৃক্ততা হয়। তাদেরও সবার সংক্রমণের কথা চিন্তা করে আমি যাচ্ছি না। তবে, আমার মনটা পড়ে আছে সেখানে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভব থাকলেও ঘুরে ঘুরে বই পড়ার বা বই নাড়াচারার যে আনন্দ সেটা যেন পাঠকরা পেতে পারেন সেজন্যই এই বই মেলার আয়োজন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ৯:১৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
ekhonbd24.com | the reporter
Development by: webnewsdesign.com