ফারাজ করিম চৌধুরীর উদ্যোগে ৬৫ হাজার গরীব-অসহায় পরিবার পেয়েছে খাদ্য সহায়তা। নিয়মিত চলছে টেলিমেডিসিন ও সেহেরীর আয়োজনও।
দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের রাউজানসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার গরীব-অসহায় দুস্থদের মাধ্যে ৬৫ হাজার পরিবারকে দেয়া হয়েছে খাদ্য সহায়তা। এই প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন ঘরবন্দি অসহায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী।
একই সাথে করোনা সংক্রমণ রোধে ডাক্তারসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের দেয়া হয়েছে মাস্ক, পিপিই, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। রমজান মাসসহ করোনায় মাসব্যাপী নিয়মিত দেয়া হচ্ছে টেলিমেডিসিন ও সেহেরির খাবারও। এসব সেহেরির খাবার রাউজান ছাড়াও নগরীর করোনায় আক্রান্ত সেবা হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন রাতেই সরবরাহ করা হচ্ছে।
দেশের এই মুহুর্তে ঘরে বসে না থেকেই অসহায় মানুষদের পাশে থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে কাজ করে যাচ্ছেন তরুন রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক ফারাজ করিম চৌধুরী।
তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারিভাবে অসহায়, কর্মহীন দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। আমিও উদ্যোগ নিয়ে তহবিল গঠন করে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। চেষ্টা করেছি সঙ্কটময় সময়ে কোন না কোনভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
রাউজান পৌর সভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, তহবিল গঠন করে ৬৫ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা, ভ্যানগাড়ি করে মানুষের দূয়ারে দূয়ারে মাছ ও শাকসবজি সরবরাহ করা, ১০০ জন ডাক্তার নিয়ে টেলিফোনে চিকিৎসা সেবা দেয়াসহ নানাবিধ প্রশংসনীয় উদ্যোগ। রমজানের শুরুতেই করোনার ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা চট্টগ্রামের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ২ হাজার মানুষের জন্য প্রতিদিন সেহেরীর খাবার সরবরাহ কার্যক্রমটি ছিল অনেকটা চ্যালেঞ্জিং। তারপরেও দেশের এই ক্রান্তিকালে এমন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
রাউজান উপজেলা আ’লীগের নির্বাহী সদস্য ও সংগঠক সুমন দে বলেন, এমন সাহসী ও মানবিক উদ্যোগ নেওয়া ফারাজ করিম চৌধুরীকে চট্টগ্রামের মানুষ বহুদিন মনে রাখবে। তাছাড়া এই করোনা পরিস্থিতি ছাড়াও রাউজানবাসীর পাশে থেকেই নিয়মিত সহযোগিতা করে আসছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনার শুরু থেকেই নিজের জীবন ও আত্মীয় স্বজনের মায়া কাটিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন ফারাজ করিম চৌধুরী। রাউজানবাসীর মধ্যে তিনি করোনা জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচারপত্র বিতরণ করাসহ হ্যান্ড মাইকে প্রচারণা চালিয়েছেন। এ ছাড়াও নিজে উপস্থিত থেকে জীবাণুনাশক ও ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি দিয়ে রাউজানের প্রধান সড়ক এবং ওয়ার্র্ডগুলোর মূল সড়ক অলিগলি ধুয়ে পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগও নেয়া হয়। করোনা সংকটে রাউজানে ঘুরে ঘুরে কর্মহীন, শ্রমজীবী ও অসহায় মানুষের সমস্যা ও দুর্দশা চিহ্নিত করছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর হেল্প ডেস্ক টিমের মাধ্যমে। তালিকা ধরে পরে তাদের খাদ্য সমস্যা সমাধানের কাজ করে যাচ্ছেন রাউজানের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর ছেলে তরুন রাজনীতিবিদ ও সংগঠক ফারাজ করিম চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ৭:০৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ মে ২০২০
ekhonbd24.com | saidul islam
Development by: webnewsdesign.com