চিত্রনায়িকা হিসেবে প্রার্থনা ফারদিন দীঘির আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে আগামীকাল। ‘তুমি আছো তুমি নেই’ শিরোনামের এই ছবিটি নির্মাণ করেছেন বরেণ্য পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। এতে অভিনয় করেছেন দীঘির বাবা অভিনেতা সুব্রতও।

দীঘির প্রথম ছবি মুক্তির আগেই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। শোনা যাচ্ছে, দীঘির নেতিবাচক একটি মন্তব্যের কারণে তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতিও নিয়েছেন পরিচালক ঝন্টু। কথা রটেছে, ঝন্টু ইতিমধ্যেই এক কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন দীঘি, তার বাবা ও তার মামার বিরুদ্ধে।

বিষয়টি নিয়ে দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে ‘হারানো সুর’খ্যাত অভিনেতা সুব্রত বলেন, ‘আমিও দু’রকম কথাই শুনেছি। কেউ বলছে মামলা করেছে আবার কেউ বলছে মামলা হয়নি। আমি আদালতের কোনো নোটিশ পাইনি। পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবো।’

আপনি কি বিষয়গুলো নিয়ে দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘একবার না বহুবার চেষ্টা করেছি। তাকে, তার ছেলে, তার প্রযোজককেও বহুবার ফোন দিয়েছি। কেউ আমার ফোন ধরছে না। এর আগে, আমার মেয়ের যে কথায় তিনি রাগ করেছে, তার জন্য দীঘিও তার কাছে ক্ষমা চেয়েছে, যা বহু গণমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু তিনি কোনো কথাই শুনছেন না।’

সঙ্গে যোগ করে সুব্রত আরও বলেন, ‘দীঘির যে কথাটি শুনে তিনি রাগ করলেন, তাকে অনুরোধ করেছিলাম পুরো ভিডিওটি দেখার। কিন্তু তিনি তো তার কাথায় অটল। এ সম্পর্কে আমার আর কিছু বলার নেই।’

ঝন্টুর ছবিতে এবারই কি প্রথম অভিনয় করলেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, ৩৬ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম তার ছবিতে কাজ করলাম। তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো। দীঘিরও প্রথম অভিনয় তার ছবিতে।’

তিক্ত অভিজ্ঞতা বলার কারণ জানতে চাইলে সুব্রত বলেন, ‘তিক্ত অভিজ্ঞতা বলবো এই কারণে, আমার কোনো ছবি নিয়ে এত সমালোচনা হয়নি, এটার মতো। তাছাড়া তার ছবিতে কাজ করে আমি পারিশ্রমিক পাইনি, দীঘিকেও পুরো টাকা দেওয়া হয়নি। কয়েকবার টাকা চাওয়া হয়েছে। তাকে এও বলেছি, আমার মেয়ের প্রথম ইনকাম, এটা নিয়ে এমনটা করবেন না। সে কোনো কথাই কানে তোলেননি। পারিশ্রমিক চাইতে গেলেই যদি নেতিবাচক কথাবার্তা শুনতে হয়, তাহলে কী আর বলবো। তার মতো অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে এটা আশা করিনি।’