ব্রেকিং

x


আমরা চাঁদে যাব..

শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০ | ২:৩২ পূর্বাহ্ণ

আমরা চাঁদে যাব..

আমরা মিলিত হই কলেজে জ্ঞানের জন্য,শহরে মিলিত হই অগ্রগতির জন্য এবং শক্তির জন্য রাজ্যে।বেশির ভাগ বিজ্ঞানী এখনো জীবিত আছেন এবং কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের জাতির নিজস্ব বৈজ্ঞানিক জনশক্তি প্রতি ১২ বছরে দ্বিগুণ হচ্ছে,যা আমাদের দেশের জনসংখ্যার বৃদ্ধির ৩ গুন।গত মাসে বৈদ্যুতিক বাতি,টেলিফোন,মোটরগাড়ি এবং বিমান ব্যবহার শুরু হয়েছে।

গত সপ্তাহে আমরা পেনিসিলিন, টেলিভিশন এবং পারমাণবিক শক্তিকে তৈরি করেছি এবং এখন যদি আমেরিকার নতুন মহাকাশযান শুক্র গ্রহে পৌঁছাতে সক্ষম হয়,আমরা আক্ষরিক অর্থেই আজকের মধ্যরাতের পূর্বে তারার জগতে পৌঁছাতে সক্ষম হব।কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নামের এই দেশ,ট্যাক্সাস নামের রাজ্য,হিউস্টন নামের এই শহর তাদের দ্বারা গড়ে উঠে নাই,যারা অপেক্ষা করেছিল,বিশ্রাম নিয়েছিল এবং নিজের পিছনে তাকিয়েছিল।

বিকাল ৪.৩০ মিনিটে উইলিয়াম ব্যান্ডফোর্ড “প্লাইমাউথ বে কলোনির ” প্রতিষ্ঠা নিয়ে বলার সময় বলেছিলেন যে,#সকল মহৎ এবং সম্মানজনক কার্যাবলীর সাথে থাকে বড় বড় ঝামেলা, যথাসাধ্য সাহস নিয়ে উভয়কে মোকাবিলা এবং অতিক্রম করতে হয়।আমাদের বিজ্ঞান ও শিক্ষার অগ্রগতি পূর্ণ হবে,মহাশূন্য এবং পরিবেশ সম্পর্কে আমাদের নতুন জ্ঞান দ্বারা, আমাদের শিক্ষালাভ,পর্যবেক্ষণ এবং চিত্রায়নের নতুন পদ্ধতি দ্বারা, শিল্প কলকারখানা, চিকিৎসা বিজ্ঞান, বাসা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত নতুন যন্ত্র এবং কম্পিউটারের দ্বারা। #রাইসের মত কারিগরী প্রতিষ্ঠানগুলি এই অর্জনের ফসল তুলবে।

তবু্ও আমি মনে করি,এই কাজ আমরা করতে পারব এবং আমাদের তাই ব্যয় করতে হবে, যা ব্যয় করা দরকার।এই বছরের মহাকাশ বাজেট ১৯৬১ সালের জানুয়ারিতে যা ছিল তার চেয়ে তিনগুণ বেশি অর্থাৎ ৫৪০ কোটি ডলার।যদিও আমরা প্রতিবছর সিগারেটের পিছনে যা ব্যয় করি তার থেকে কম।

আমার এই জন্য খুশি লাগছে,এই বিশ্ববিদ্যালয় মানুষকে চাঁদে পাঠানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ভূমিকার একটি অংশ পালন করছে।বহুবছর আগে বিখ্যাত বৃটিশ পরিব্রাজক “জর্জ ম্যালোরিকে” ( যিনি মাউন্ট এভারেস্টে মারা যান) প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন তিনি মাউন্ট এভারেস্টে আরোহন করতে চাচ্ছেন? তিনি বলেছিলেন ” কারণ এটা সেখানে রয়েছে”।
হ্যা,মহাকাশ রয়েছে এবং আমরা সেটাতে পরিভ্রমণ করব,এবং চাঁদ ও অন্যান্য গ্রহ সেখানে রয়েছে, রয়েছে জ্ঞান এবং শান্তির অসীম ভান্ডার। তারপর আমরা যখন পাল তুলে দিব, তখন আমরা মানবজাতির সব থেকে ভয়াল,বিপজ্জনক এবং সব থেকে বড় অভিযানের জন্য #ঈশ্বরের নিকট অনুগ্রহ চাইব।
ধন্যবাদ।

( যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ তম রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি, ট্যাক্সাসের হিউস্টনের রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাডিয়ামে ১৯৬২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এই ভাষণটি দেন।মূল ভাষণটি অনেক বড়,চুম্বক অংশটুকু তুলে ধরা হয়েছে।)

( লেখাটি রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার বোরহান উদ্দিনের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া)

Facebook Comments Box

বাংলাদেশ সময়: ২:৩২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০

ekhonbd24.com |

Development by: webnewsdesign.com